
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে প্রত্যাশার ম্যাচে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২-১ গোলে হার মানে স্বাগতিকরা।
যদিও অভিষেক ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে মাঠ মাতিয়েছেন তারা। তবে সাফল্যের গল্প লেখা হলো না। বরং সিঙ্গাপুরের তারকা ইখসান ফান্দির দাপটে হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজরা।
দীর্ঘদিন পর প্রাণ ফিরে পাওয়া বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল লাল-সবুজের প্রত্যাবর্তন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী, ইতালির লিগে খেলা ফাহামেদুল ইসলাম ও কানাডা প্রবাসী সমিত সোমের আগমনে দলে এসেছিল নতুন উদ্দীপনাও।
প্রথমার্ধে খেলায় দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায়। শুরুতে বাংলাদেশই কিছুটা এগিয়ে ছিল আক্রমণে। ফাহামেদুল ও শাকিল আহাদের সহযোগিতায় রাকিব হোসেন কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। সমিত সোম ছিলেন বাংলাদেশের আক্রমণের মূল উৎস, প্রথমার্ধে পাঁচবার আক্রমণের সূচনা করেন তিনি।
তবে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচে প্রথম গোল করে এগিয়ে যায় সিঙ্গাপুর। গোলকিপার মিতুলের ভুলে সুবিধাজনক পজিশনে বল পেয়ে যান সং উই ইয়াং, যাঁর শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন হামজা চৌধুরী।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরও একটি ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ৫৯ মিনিটে ইখসান ফান্দি সিঙ্গাপুরের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন। গোলকিপার মিতুল শট ফিরিয়ে দিলেও বল ঠিকভাবে ক্লিয়ার করতে পারেননি, আর সেই সুযোগই কাজে লাগান ফান্দি।
৬৭ মিনিটে অবশেষে কিছুটা স্বস্তি ফেরে গ্যালারিতে। হামজা চৌধুরীর পাস থেকে দারুণ এক গোল করেন রাকিব হোসেন। সিঙ্গাপুরের গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। গোটা স্টেডিয়াম তখন উল্লাসে ফেটে পড়ে। তবে এরপর আর কোনো গোল আসেনি।
জাতীয় স্টেডিয়ামে এত দর্শক বহুদিন পর দেখা গেছে। কিন্তু সমর্থকদের সেই উচ্ছ্বাস জয় দিয়ে উদযাপিত হলো না। দল শক্তিশালী হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সমন্বয়ের ঘাটতি এখনো চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে ডিফেন্স ও ফিনিশিংয়ে।