সোমবার- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

চট্টগ্রামে রেল কর্মকর্তার চোখের সামনেই দরপত্র ছিনতাই!

চট্টগ্রামে রেল কর্মকর্তার চোখের সামনেই দরপত্র ছিনতাই!

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশল কর্মকর্তার (এক্সইএন) ও বিভাগীয় প্রকৌশল কর্মকর্তা-১ (ডিইএন) এর চোখের সামনেই দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার দিকে ডিইএন-১ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে নির্বাহী প্রকৌশলী ও ডিইএন-১ প্রকৌশলী আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে।

যদিও দরপত্র ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল পাহাড়তলীর ডিইএন-১ এর (ভারপ্রাপ্ত) এক্সইএন পিএনডি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা সত্য। এ নিয়ে শিগগিরই আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।

আরও পড়ুন :  নির্বাচন কমিশন প্রতীকের সংখ্যা বাড়াতে-কমাতে পারে : সিইসি

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে পাবলিক টয়লেটের দরপত্র আহ্বান করা হয়। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দরপত্র কেনার শেষ দিন পর্যন্ত ৯টি সিডিউল বিক্রি হয়। অভিযোগ ওঠে, দরপত্র জমা না দিতে নূর ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দেন রেলের চাকরিচ্যুত কর্মচারী মাহাবুব।

সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল পাহাড়তলীর ডিইএন-১ (ভারপ্রাপ্ত) এক্সইএন পিএনডি আব্দুর রহিমের কার্যালয়ে নূর ট্রেডার্সের পক্ষে দরপত্র জমা দিয়ে যায়। এ সময় টেন্ডারবক্সে সিডিউল জমা দিতেই আব্দুর রহিমের চোখের সামনেই দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন :  নির্বাচন কমিশন প্রতীকের সংখ্যা বাড়াতে-কমাতে পারে : সিইসি

নূর ট্রেডার্সের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক এক্সইএন পিএনডি আব্দুর রহিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দরপত্র ছিনতাই ঘটনায় কোনো রকম ব্যবস্থা নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, দরপত্র ছিনতাই ঘটনার খবর পেয়েছি। ঘটনায় তদন্ত হবে। ডিআরএম নেই। তাই আমরা কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না। তিনি আসলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন :  নির্বাচন কমিশন প্রতীকের সংখ্যা বাড়াতে-কমাতে পারে : সিইসি

ঈশান/কম/সুম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page